ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার উপনির্বাচনে ভবানীপুর আসনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ঘোষণার পর বিজেপির মধ্যে বিভ্রান্তি ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। তারা কী করবে, ভোটে যাবে, না আইনি পথে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করবে— সেটি নিয়ে দোলাচলে আছেন দলের নেতাকর্মীরা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একবার বলেন, আমরা আইনি পরামর্শের কথা ভাবছি। তার পরেই বলেন, আমরা ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য— ‘আইনকে ঢাল করে বিজেপি ময়দান ছেড়ে চলে যাবে না।’ এই পরিস্থিতিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্য— দল বললে নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত। তৃণমূল অবশ্য এই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ভবানীপুর, শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ভবানীপুরে তাদের প্রার্থী প্রত্যাশিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে তাদের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন। বিধানসভা ভোটেও তারাই ওই দুই আসনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তখন অন্য দুই প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ওই দুই কেন্দ্রে বিধানসভা ভোট হয়নি। বিজেপি অবশ্য এখনও ভবানীপুরের প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। দলীয় সূত্র জানিয়েছে— মঙ্গলবার তারা এ নিয়ে বৈঠকে বসবেন। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, ভবানীপুরসহ তিন কেন্দ্রে বিজেপি সুবিধাজনক অবস্থায় নেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।